About The Author
ছোটবেলায় বাড়িতে কখনো গোলা রুটি সেভাবে খাই নি। তাই এই দারুন সুস্বাদু খাবারের ব্যাপারে প্রথম জানতে পারলাম easy and quick recipes নিয়ে অনলাইনে গবেষণা করার সময়।
এই রুটি সম্ভবত সবথেকে সস্তা, সবথেকে সহজে তৈরী করা যায় অথচ সবথেকে সুস্বাদু খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম।
রুটির গোলা বাড়তি হলে কোনো অসুবিধে নেই। সহজেই ফ্রিজে রেখে দেওয়া যায়, পরবর্তী কোনো সময় ব্যবহারের জন্য। সকালের জলখাবার, দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ, সন্ধ্যের মুখরোচক কিংবা রাত্রের ভুরিভোজ – সবেতেই গোলা রুটি সমান স্বচ্ছন্দে চলতে পারে।
খুব সহজে, খুব অল্প সময়ে (বড়জোর ১০ মিনিট) আপনার খিদে মেটানোর একটি অনন্য উপাদান এই গোলা রুটি।
এই রুটি খাবার জন্য কোনো তরকারি,গুড় বা ওই ধরণের সাইড ডিশ এর প্রয়োজন হয় না।
তবু, যদি আপনি মনে করেন, আপনি এটি খেতে পারেন কেচাপ, মধু, চকলেট সিরাপ, ম্যাপেল সিরাপ, বা মিষ্টি দই এর সঙ্গে।
এই স্বাস্থকর পদ বানাতে মূলত আটা ব্যবহার করা হয়। তবে আপনি প্রয়োজনমত ময়দা ও ব্যবহার করতে পারেন।
Note
The equipment & ingredient quantity provided in this recipe is to assist you in cooking this dish. Feel free to experiment with your ingredients. Remember that we all have different set, size & shape of kitchen tools in our pantry.
Equipment
- বড় বাটি
- চাটু / তাওয়া
- চামচ
- ডাবু হাতা এবং চমস
- ছুরি
Ingredients
- 1 কাপ আটা
- 1 টি মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ
- 1 টি সবুজ লঙ্কা
- 1 টি টোম্যাটো ইচ্ছে অনুযায়ী
- 1 টি ডিম ইচ্ছে অনুযায়ী
- 1/2 চামচ নুন স্বাদ অনুযায়ী
- 1/2 চামচ চিনি স্বাদ অনুযায়ী
- 1.5 কাপ জল
- 4 চামচ তেল
- 1/2 কাপ দুধ ইচ্ছে অনুযায়ী
Instructions
তৈরীর প্রস্তুতি
- মিহি করে পেঁয়াজ কুঁচিয়ে নিন
- মিহি করে টোম্যাটো কুঁচিয়ে নিন
- লঙ্কা লম্বা করে চিরে, বীজ বেছে বাদ দিয়ে, মিহি করে কুঁচিয়ে নিন
- নিম্নোক্ত সব উপাদান (আটা, ডিম্, কুঁচানো পেঁয়াজ, কুঁচানো টোম্যাটো, কুঁচানো লঙ্কা, নুন ও চিনি) একসঙ্গে একটি বড় বাটিতে নিন
- বাটিতে সব সরঞ্জাম নিয়ে, একটি বড় চামচ দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন
- অল্প পরিমানে জল মেশাতে থাকুন ফেটানোর সঙ্গে সঙ্গে – দলা পাকাতে দেবেন না
- মিশ্রণটি মাঝামাঝি হতে হবে। খুব বেশি গাঢ় বা খুব পাতলা যেন না হয়
- ফেটানো হয়ে গেলে, মিশ্রণটি বাটিতে রেখে ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করুন
গোলা রুটি তৈরির পদ্ধতি
- তাওয়া বা চাটু ওভেনের ওপর বসিয়ে যথেষ্ট গরম করে নিন
- গরম চাটুতে তেল দিন এবং অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না তেল থেকে ধোঁয়া বেরোয়
- ডাবু হাতায় এক হাতা মিশ্রণ তুলে চাটুতে দিন। ইচ্ছেমত গোল আকার দিতে পারেন চামচের সাহায্যে। তবে এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়
- রুটি চাটুতে সেঁকতে দিন এবং হাত দেবেন না, যতক্ষণ না ধারগুলো বাদামী রঙের হচ্ছে
- যখন রুটির ধার গুলো বাদামি রঙের হয়ে যাবে, চমসের সাহায্যে এটিকে উল্টে দিন
- ১ মিনিট সেঁকতে দিন উল্টো দিক টা। হয়ে গেলে, চাটু থেকে নামিয়ে নিন
- এইভাবে, সবটুকু গোলা / মিশ্রণ দিয়ে রুটি বানিয়ে ফেলুন
- স্যালাড, কেচাপ, অথবা মধু দিয়ে গরমাগরম পরিবেশন করুন
Notes
- চাটু বা তাওয়া গোলা রুটি বানানোর জন্য অপরিহার্য। যে কোনো রকম রুটি সেঁকার চাটু অথবা ধোসা বানানোর তাওয়া ব্যবহার করা যাবে।
- নন-স্টিক চাটু পাওয়া গেলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায় যদিও, এটি বাধ্যতামূলক নয়। চাটু যেমনই হোক না কেন, রুটি একইরকম সুন্দর করা সম্ভব। আমি নিজে একটা সাধারণ চাটু তে তৈরী করি। নন স্টিক ব্যবহার করি না।
- গোলা বা মিশ্রণ খুব বেশি গাঢ় বানালে চলবে না। খুব বেশি গাঢ় মিশ্রণ হয়ে গেলে রুটি শক্ত হবে এবং খেতে ভালো লাগবে না। মিশ্রণ পাতলা অথচ ধারাবাহিক হতে হবে। আদর্শ গোলা রুটি পাতলা, ষদচ্ছ হবে।
- আর একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, একেবারেই বিমর্ষ হবেন না যদি প্রথম রুটি চাটু তে আটকে যায়, বা মনের মতো না হয়। এটা স্বাভাবিক এবং আমারও মাঝে মধ্যেই হয়। রুটি যত বানাতে থাকবেন, তত সুন্দর হতে থাকবে।
- টোম্যাটো বাধ্যতামূলক নয়। বাড়িতে টোম্যাটো না থাকলে, ওটা ছাড়াই তৈরী করুন; কেচাপ দেবেন না।
- ডিম, চিনি, এই দুটোই বাধ্যতামূলক নয়। স্বাদ অনুযায়ী ব্যবহার করা যেতে পারে। ডিম, চিনি রুটির ফ্লেভার দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় মূলত।
- দুধ ছাড়াও বানানো যেতে পারে।অবশ্য দুধ দিলে গুণগত মান যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়
- এক চামচ গোলা তেলে দেওয়ার পর, সেঁকতে দিন। নাড়াচাড়া করবেন না। দেখতে থাকুন রুটির ধার বাদামি রঙের হচ্ছে কিনা। ধার বাদামি হয়ে গেলে, সাবধানে চমস ব্যবহার করে রুটি উল্টে দিন চাটুতে।
- গোলা রুটি খাওয়ার জন্য অন্য কোনো কিছুর প্রয়োজন হয় না। অবশ্য, স্বাদ অনুযায়ী কেচাপ, মিষ্টি দই, মধু, চকোলেটে সিরাপ ইত্যাদি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
Pingback: Healthy Food in India - What I Have Learnt From Years of Study
Pingback: Gola Ruti Recipe | Easy & Quick Wheat-based Pancake